শীর্ষে মুশফিকের মোহামেডান

উপুল থারাঙ্গার লেগ গ্ল্যান্সটা ফাইন লেগ বাউন্ডারি পার হয়েছে কি হয়নি, তার আগেই সাইডলাইন থেকে মোহামেডানের খেলোয়াড়েরা ভোঁ দৌড় লাগালেন মাঠের দিকে। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ড্রেসিংরুম থেকে ছুটে এলেন মাঠে, ক্লাব কর্মকর্তারাও দাঁড়িয়ে গেলেন ড্রেসিংরুমে ফেরার সিঁড়িতে। সবার উদ্দেশ্য এক, অভিনন্দন জানাতে হবে থারাঙ্গাকে।
শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান মাথা ঠান্ডা রেখেছিলেন বলেই তো কাল ফতুল্লায় সহজ ম্যাচটাকে কঠিন বানিয়েও জিতেছে মোহামেডান। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমিকে ৩ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে হারিয়ে পঞ্চম রাউন্ড শেষে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেও উঠে গেছে মুশফিকের দল। মোহামেডান ও দোলেশ্বর দুই দলেরই পয়েন্ট ৮, তবে মোহামেডান এগিয়ে নেট রানরেটে।
ইনিংসের শুরুতে মোহামেডানের লক্ষ্য ছিল ২৩২ রান। ২০.৫ ওভার পর বৃষ্টি এসে খেলা থামিয়ে দিল মিনিট চল্লিশের জন্য। স্কোর তখন ১ উইকেটে ৯৭। ৪৪ ও ৪১ রানে ব্যাট করছিলেন থারাঙ্গা ও এজাজ আহমেদ। ম্যাচ আবার শুরু হওয়ার সময় মোহামেডানের সামনে পরিবর্তিত লক্ষ্য—৪৩ ওভারে ২০৭।
১৪ রানে সৈকত আলীর বিদায়ের পর জুটি বাঁধা এজাজ-থারাঙ্গা বিচ্ছিন্ন হলেন স্কোর ১২৫ হওয়ার পর। ৬৮ বলে ৬০ রানের ইনিংসে এজাজ ২টি চার মেরেছেন আর ৪টি বিশাল ছক্কা। চার ছক্কার দুটিই আছড়ে পড়েছে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে সাইটস্ক্রিনে।
এজাজের বিদায়ের পর মুশফিক এসে থারাঙ্গাকে নিয়ে যোগ করলেন আরও ৪৯ রান। ২ চার ও ১ ছয়ে ২৩ রান করা মুশফিক বলের লাইন মিস করে বোল্ড হলেন বাঁহাতি স্পিনার বিশ্বনাথের বলে। এরপরই থারাঙ্গাকে দর্শক বানিয়ে শুরু হলো অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়া। অহেতুক আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এলেন আরিফুল, মিলন ও নাঈম ইসলাম। ১৭৪ থেকে ১৯৯—এই ২৫ রান তুলতেই ৪ উইকেট নেই।


EmoticonEmoticon