প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর সরকারের বিভিন্ন
পদক্ষেপের তথ্য তুলে ধরে বলেছেন, কোনোভাবেই পরীক্ষায় ফেল করার কোনো
মানে হয় না। সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক সুযোগ সৃষ্টি করেছে। একটু মনোযোগ
দিয়ে পড়লেই পরীক্ষায় ভালো করা সম্ভব।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে পরীক্ষার ফলাফলের কপি হস্তান্তর করেন। এ সময় এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সারা দেশের আটটি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এ বছর অনুষ্ঠিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) এবং সমমানের মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষার ফল আজ প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর পাসের হার ৮৮ দশমিক ২৯ শতাংশ।
ফলাফল গ্রহণকালে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে বর্তমান সরকার প্রদত্ত নানা সুযোগ-সুবিধার সুযোগ নিয়ে পাঠে আরও মনোনিবেশ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা যেখানে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছি সেখানে শিক্ষার্থীদের বেশি মাত্রায় ফেল করার কোনো মানে হয় না।’
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে পরীক্ষার ফলাফলের কপি হস্তান্তর করেন। এ সময় এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সারা দেশের আটটি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এ বছর অনুষ্ঠিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) এবং সমমানের মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষার ফল আজ প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর পাসের হার ৮৮ দশমিক ২৯ শতাংশ।
ফলাফল গ্রহণকালে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে বর্তমান সরকার প্রদত্ত নানা সুযোগ-সুবিধার সুযোগ নিয়ে পাঠে আরও মনোনিবেশ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা যেখানে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছি সেখানে শিক্ষার্থীদের বেশি মাত্রায় ফেল করার কোনো মানে হয় না।’
এ বিষয়ে তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশের উন্নয়ন, ভবন নির্মাণ ও
সংস্কার, বৃত্তি প্রদান এবং প্রতিবছর মাধ্যমিক পর্যন্ত সারা দেশে বিনা
মূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের সরকারি উদ্যোগের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন।
প্রকৃত শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতিই উন্নত হতে পারে না-এ কথা উল্লেখ করে
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ জন্যই সরকার সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে কারিগরি শিক্ষারও
বন্দোবস্ত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান বিশ্বে চাহিদার কথা বিবেচনা করেই সরকার
কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার ওপর অধিক গুরুত্বারোপ করেছে। যাতে আমাদের
ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বর্তমান প্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে পারে।
এ কারণে সরকার শিক্ষকদের জন্যও আধুনিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও
তিনি জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের
জন্য বিনা মূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ এবং বৃত্তি চালুর সরকারি উদ্যোগের ফলে
অভিভাবকদের ওপর অর্থনৈতিক চাপ অনেকাংশেই কমে এসেছে। তিনি বলেন, ‘এত
মেধাবৃত্তি অন্য কোনো দেশ দেয় কি না, আমি জানি না।’
পরীক্ষায় ভালো ফলাফলকারীদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,
পরীক্ষায় পাসের হার বেড়েছে, যদিও কেউ কেউ কৃতকার্য হতে পারেনি। তিনি বলেন,
আমাদের শিক্ষার্থীরা মেধাবী। তাই আর যাই হোক তারা পরীক্ষায় ফেল করতে পারে
না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রকৃত শিক্ষায়
শিক্ষিত হয়ে গড়ে উঠবে। যাতে করে তারা অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে
প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঝালকাঠি এবং
পঞ্চগড় জেলার জেলা পরিষদ কার্যালয়ে উপস্থিত শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন...

EmoticonEmoticon